একটা মানুষ বেঁচে আছে (কবিতা না ছাই)
একটা মানুষ এখনো বেঁচে আছে;
সহস্র ক্রোশ দূরে কিংবা অনেক কাছে।
চোখের সামনেই আছে। ধরা যাক না, ছোঁয়া যাক না, কথা তো বলা যায়।
যদিও-বা, আমি বাঁচি কি-বা মরি তার কি আসে যায়?
আমার চোখের সামনে সে হাসছে, এটাই তো বেশ;
সব ভাল মোর, কারণ ভাল আছে শেষ।
একটা সময় ভাবিওনি, সে সব মায়া ছেড়ে যাবে চলে।
টানেলের ভেতরে গিয়েছিল সে আর আসবে না বলে।
হাঃ হাঃ হাঃ
পারেনি। সে কথা রাখতে পারে নি। বেঁচে এসেছে।
ঝরেনি। সে ঝরে যায়নি। কয়েক গাল হেসেছে।
রাখেনি। কথা রাখতে পারেনি। আমার ফাঁসে, দেখো কেমন ফাঁসা সে ফেঁসেছে।
এই আনন্দ আমি ছড়িয়ে দিয়েছি আকাশ ভুবন সাঁঝে।
শারদীয় নীল আসমানের তুলোর ভাঁজে ভাঁজে।
এই, নাও। তোমরা খেলো, বৌ-ছি কিংবা গোল্লাছুট। ঘরের বাহিরে যাও।
এ সুখে ধ্রুবতারাকে বলেছিলাম, বড় হও, ওদের আলো দাও।
ওরা দেখুক আমার বন্ধুকে। ধ্রুবতারা কিন্তু কথা রেখেছে।
আমার আনন্দে রহস্যের আকাশে পুর্ণিমালোয় আজ চন্দ্রীমা এসে গেছে।
আকাশগঙ্গার দিদিটা আমাকে বলেছিল ভয় না পেতে।
আরো বলেছিল, আমি যেন খেলায় না ওঠি মেতে।
কিন্তু আমি ভয় পেয়েছিলাম।
আমার শিরদাঁড়ায় নিদারুণ শীতলতা ভর করেছিল।
অজানা আশংকারা আমাকে দেখে হাসছিল
না জানি শেষে ওকে হারাই, কি হবে তখন?
ছায়াপথের দিগন্ত হারিয়ে, ও থাকবে না যখন।
যাক বাবা বেঁচে গেছি। ও বেঁচে আছে। অবশ্যই, অবশ্যই, ভালভাবে।
ও বেঁচে আছে আমার চোখের সামনে। একটু অন্যভাবে।
উৎসর্গঃ বাস্তবে বেঁচে থাকা সেই মানুষটি।
0 টি তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন