তুমি মচকে যাও কিন্তু ভেঙো না



ওরা তোমাকে বলে তুমি পারবে না । অন্তত তোমার দ্বারা ঐকাজ সম্ভব না । এখন তুমি কি তাদের কথায় বিশ্বাস করে নিজেকে থামিয়ে রাখবে ?

তোমার লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাতে তুমি কি ভাবছ মসৃণ একখানি রাস্তা পাবে আর তরতর করে হেঁটে তোমার লক্ষ্যে পৌছে যাবে ?

হা হা হা । হাসতেই হয় তোমার কল্পনা দেখে । একটু মনযোগ দিয়ে নিচের গ্রাফটি দেখঃ-



আরে পাগল !! বাস্তব পথ আর তোমার কল্পিত সফলতার পথে আকাশ পাতাল ফারাক থাকবে এটাই নিয়ম । প্রতিদিন সকালে সুর্য ওঠা যেমন একটি নিয়ম, প্রত্যেকটি মানুষ ছোট থেকে বড় হবে যেমন একটি নিয়ম ঠিক তেমনি ঘটমান বাস্তবতা আর পরিকল্পনার বাস্তবায়নের পথে যে সমস্যা আসে ঐটাও একটি নিয়ম । জাস্ট এটাই । এটা ঘটবেই । এর ফাঁপড়ে পড়ে মানুষকে প্রায়ই বলতে শোনা যায় বাস্তবতা বড়ই নিঃষ্ঠুর । আর এর আঘাত সহ্য করে অনেক ছেলেকে আমি দেখেছি পড়ে যেতে ।

জেনে রেখ পথ চলতে গেলে কেবল আকস্মিক আঘাত না অনেক অকল্পনীয় বাধা আসবে । ঝড় আসবে, তুফান আসবে, আসবে অকাল বন্যা । রাস্তা কাঁদায় ভরে যাবে, পিচ্ছিল হয়ে যাবে । যেকোন মুহুর্তে শেষ হবার সম্ভাবনা থাকে কাঙ্খিত ক্যারিয়ার ।

তুমি কি এগুলো মেনে যাত্রা অবিরত রাখতে প্রস্তুত নও ? তুমি কি এই আঘাত সহ্য করতে প্রস্তুত নও ? তবে তোমার একটি বড় সাফল্যের কথা বলি । হ্যাঁ তোমারই সাফল্য । তাও রীতিমত যুদ্ধই বলা যায় ।

তুমি কি জানো লক্ষ লক্ষ অস্তিত্বের সাথে যুদ্ধ করেই তোমাকে তোমার মাতৃগর্ভে অস্তিত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে । তুমি কি জানো পরাজিত সবাই ঐখানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল আর কেবল তুমিই জিতেছিলে বলে আজ অবধি তোমার অস্তিত্ব ধারণ সম্ভব হয়েছে ।

১৮৩২ সাল । একটা লোক তাঁর চাকরিও হারান নির্বাচনেও হারেন । ১৮৩৩ সালে ব্যবসা টাঙিয়েও ক্ষতিগ্রস্থ হন । ১৮৩৫ সালে তাঁর অনুপ্রেরণার অন্যতম অবলম্বন প্রিয়তমাকে হারান । তবে রাজনীতি ছাড়েন নি । এমনকি ১৮৩৬ সালে ব্যাপক দলীয় ভাঙনের মুখে পড়েন । 
তবে ১৮৩২ সালে হারা নির্বাচনে জিতে যান । হন রাজ্য এমপি । এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখলেন । কিন্তু আবারো হেরে গেলেন ১৮৩৮ সালের স্পিকার নির্বাচনে । থামলেন না । ১৮৪৩ সালে কংগ্রেসের নমিনেশন পাননি অনেক চেষ্টা করেও । ১৮৪৮ সালেও পুনরায় নমিনেশন পাওয়ার চেষ্টা করে ফেল করেন । তবে তাঁর মেধা আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যাত্রা অব্যাহত রাখলেন ।
এদিকে ১৮৪৯ এ চাইলেন ভুমি কর্তা হতে এইখানেও ফেল । ১৮৫৪ সালেও ফেল করলেন সিনেটের ভোটাভুটিতে ।
তাই বলে হাল ছেড়ে দেয়ার লোক ছিলেন না তিনি । ১৮৫৮ সালেও একই চেষ্টা করে ফেল করলেন । তবে ১৮৬০ সালে আর তাঁকে ফেল করতে হয়নি । তিনি ঠিকই সফল হয়েছিলেন । এবং সেই সফলতা যা অনেক বড় এই জগতে । এইটা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট । আর এই লোকটার নাম আব্রাহাম লিংকন ।

নিজের ভেতর টা একবার নিংড়ে দেখ
ভাইরে সফলতা আসবেই । শর্ত হলো তোমার পিছু লেগে থাকা । আমি বলি কি তুমি মচকে যাও কিন্তু ভেঙো না ।

http://www.somewhereinblog.net/blog/gameChanger/30065463
Share on Google Plus

গেম চেঞ্জার

বাংলাদেশ কে নিয়ে খালি স্বপ্ন দেখি না টুকটাক কাজও করি । মূলত যান্ত্রিকতায় আবদ্ধ এক সত্ত্বা। ছড়া, কাব্য, গল্পে, ছবি, ভ্রমণে, বিশ্লেষণেও নিজেকে খুঁজে ফিরি।
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 টি তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন