ভেতর থেকে আমি পঁচা মাটির গন্ধ পাই ।
কেঁচো মাটি খুঁড়লে যে গন্ধ হয় ঠিক সেটাই ।
আমি নষ্ট হয়ে গেছি,
মাঝে মাঝেই ব্যাথায় কুঁকিয়ে ওঠি
ট্রাকিয়া দিয়ে আগে বেরুত কার্বন ডাই অক্সাইড,
এখন বের হয় অজস্র জীবাণু আর কত কি কেমিক্যাল ।
যকৃতের কৃষ্ণাবরণ হৃন্দ্রিয় থেকে দেখছি, ভেতরটা ফাঙাসরা দুর্বিষহ করে তুলেছে ।
ফুসফুসের পর্দায় ঘা, ক্ষতসমূহে প্রগাঢ় ছিদ্রগুলো বলছে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে বাস করছি
ব্যাকটেরিয়াগুলি মহা উল্লাসে আমার অ্যালভিওলার থলিতে প্রেতাত্মার মতো করে চেঁচাচ্ছে ।
ভাইরাসের ইনফ্যান্ট্রি আমার অন্তজঃকোষ সমুহকে করেছে এক একটা রক্তাত্ব যুদ্ধক্ষেত্র
পুঁজে ও নোংড়া পানিতে আমি ক্ষীয়মান হয়ে গেছি ।
নিকোটিনের বিষ দিয়ে যেন ব্রঙ্কিওলগুলোকে শেষ করে ফেলেছি ।
হ্যাঁ ইশ্বরকে দেখে আমি সটকে পরেছিলাম
যদিও তিনি এসেছিলেন আমার পিছু পিছু ।
আগলে রাখতে চেয়েছিলেন বলে আমি তাকে অভিশাপ দিয়েছি, শুধুই অভিশাপ ।
মহাবিস্ফোরণ তাকে জন্ম দিয়েছিল, আজ অবধি তিনি সময় ।
আমি চলেছি আমার মতো ।
অচেতন পেছনে পড়ে রয়েছে দিন, রাত ও প্রবাহগুলি,
ইশ্বরকে এখন বলতে ইচ্ছে করে আরো অনেকদিন আমার সাথে থাকার জন্য ।
0 টি তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন