ঠান্ডার দেশে আছে কি কইতে পারো মিয়া?
উড়াল দিলাম ইল্লাই বিমান একখান লইয়া
মাথায় আছে কইয়া দিলাম পেঙুইন কাহিনী
আছে রে ভাই আছে আরো নেকড়ে বাহিনী ।
নাইম্মা দেখি ক্যামেরায় কয় ইডান কি গো ভাই?
কি কইতাম এঁর ভাষাই জানা নাই ।
আসমানেদি চাইয়া দেখি ওড়ে তুরান পাখি
এট্টু পরেই খামচে ধরল মাছ একটা আরকি ।
আগায়া গেলাম সবাই পা ফালাইতে ফালাইতে
ওমাঃ কি চুন্দর রে ভাই যদি তুমি দেখতে
চোক্ষু না জুড়ায়া কি আর উপায় আছে মিয়া ?
সামনে গিয়া দেখি হ্যারা লাগছে ক্যাচাল
ভাবলাম হায়!! সবারই দেখি একি হাল
ওলে বাবা ঐ যে দেখি মহাসুখে ঝাঁপায় ।
এমন কপাল আমাগোর কি আর জোটে । করি আফসোস । হায়!!
বেফুক দুরে দেখি ব্যাটা তুলল পানির রাশি
এই শীল ব্যাডারে দেইখ্যা মোর উঠলো আবার হাসি
তলে দিয়া গেনটো পেঙুইন চলে হুড়োহুড়ো
বরফের দ্বীপে দেখো আহা থরো থরো !!
শক্ত জিনিস, এইডাও কি তারা মুখে করে লয়?
বরফ ভরা মহাদেশে তাও কি আবার হয়?
এই ব্যাটা দেহি বইস্যা আছে আরামেই
এই যে উনি খুজতাছেন কি বুঝতাছেন কি কেউ?
আরেঃ আরেঃ এই বেচারা দেইখ্যা মোরে ভয় পাইল ক্যা
দুর থিক্কা মারল চিল্লা শিলের একখান ছা ।
কানে কানে কইল সাদা ভল্লুক আইস্যা
ঐদিকে গেলে পাইবেন এস্কিমোগো বাসা
এই ঠান্ডার দেশেও হ্যারা বানায় ঘর
না জানি কত কষ্ট তাগো পুরাই জীবনভর
আলখেল্লা পড়িয়া করে সব রকম কাজ
সারা বছর করতেই হয় যে একই রকম সাজ
এতেও কিন্তু তাগো মনে নাইকো কোন দুঃখ
মাঝে মাঝে রোদ উঠলে পোহায় রোদের সুখ
মুল দুনিয়ার লোক আইয়া থাকে গ্রিন হাউস
ফিরিয়া যাইবার কালে দেখি সুর্য মিয়া হাসে ঢাউস ঢাউস
এক চিলতে রোদ রে ভাই কি । কি চমৎকার, আহারে
লেজ নাড়িয়ে শাবক চলে তাই পাহাড়ে
বারো মাসের শীতের দেশ থুইয়া ফিরলাম যারযার দেশে
আহা কি বিচিত্র এই দুনিয়া রে ভাই । কইকি আর মিছে ।
আসল কথা কইয়া দেই রাগ করোনা মিয়া
আমার কি আর কপাল আছে ছবি তুলমু গিয়া ।
নেট থিক্কা ছবি নিয়া, বানাইছি এই ছড়া
রাগে নিলে নিজেই নিজেই খাইবেন আপনে ধরা ।
0 টি তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন