{আগের পর্বের লিন্ক}
চিকনার হতবুদ্ধি টাইপ দাঁড়ানো দেখে মন্ত্রীমশাই একগাল হেসে নিয়ে বললেন-
: কি মামুইন্যা । দিশা হারাই লাইচিস?
: না । মামু । আন্নে ইডা কি ঐলেন । যেই ব্যাডা আন্নের হত্রু হেরে আন্নে সালাম দিতাচেন ? ইয়ে..
: আরে বেটা তুই ইডার কি বুঝবি ? সব সাংঘাতিকই (সাংবাদিকরা) তো আমাগ শত্রু না । কিচু আচে খালি গায়ে হরে লাগে । মনে কর যে হ্যারা মগ শত্রু না বুরুং বন্ধু । হ্যারা হইল দুষ্ট বন্ধু । ইডা তোর বুঝা লাগিপ না । হালারপো ভাগ্নে - তুই এই খবরটা দি ভাল কইচ্চস । তোরে লইয়াই এলাকায় যামু আগামি রোববার ।
: ঠিক আচে । মামু । আন্নের কতাই রাইত ।
অফিসের এক কোণে বসা কর্মরত তরুন বয়সি এক মহিলা ভেবে পান না শালার ছেলে কি করে স্যারের ভাগ্নে হয় । যাই হোক তিনি এ ব্যপারে কখনই নাক গলাননি এবং এবারও তা করলেন না ।
--------------------
মন্ত্রী ঠিকই রোববার এলাকায় গিয়ে আসন্ন বিপদ টের পেলেন । জেলা সদর থেকে একটা ভাল প্রটোকল নিয়েই তিনি এলাকায় প্রবেশ করলেন । মোপাইলে পাতিনেতাদের যে আশংকায় ফোন করলেন ঠিক ঠিক তারই আভাষ পেলেন । এলাকার নেতাকর্মীরা মন্ত্রীমশায়ের অনুপস্থিতিতে যে যার গায়ে ইচ্ছেমত কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি, এঁটো-মেটো কোন্দল করে কোনভাবেই তাঁরা ভাল অবস্থায় নেই এই ব্যপারটা তিনি বেশ বুঝে গেলেন । আর অখেয়ালে কে কোন দশাপ্রাপ্ত হয়েছে সেটার প্রতি নিজেরা এতটুকু ভ্রুক্ষেপ করেনি । তো মন্ত্রীমশায় নিতান্তই বিরক্ত হয়ে থানার পার্শ্ববর্তী মসজিদে জোহর নামাজবাদ দোয়ার আয়োজন করতে নির্দেশ দিলেন যাতে এলাকার ধর্মমুখী মানবকূলের হৃদয়-কুঠুরীতে কোনমতে দু একটা ধাক্কা মারতে পারেন । যেহেতু এলাকার ম্যাঙো পাবলিকের অনেক ভোটই তাঁকে আজ মন্ত্রীত্ব দিয়েছে, এবং একজন মন্ত্রীর মর্যাদা দেবতাতুল্য অতএব তিনি তাঁদের স্পর্শ দিলে ঐসব আবালগুলো নিজেদের ধন্য মনে করবে এটাই হওয়া স্বাভাবিক ।
যোহরের আজানের পর এক পুলিশ অফিসার মসজিদের অভ্যন্তরীণ মাইকে ঘোষনা করলেন মন্ত্রী একটি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছেন যাতে নামাজ শেষেই সবাই না গিয়ে বসে থাকেন ।
বাস্তবতা যে ভিন্ন জিনিস সেটা আরেকবার প্রমাণ হলো । এলাকার বেশিরভাগ মুসল্লীই যার যার নামাজ শেষ করে চলে যেতে চাইলেন । এদিকে থানার ওসি সাহেবও আসছেন নামাজে । যদিও অন্যান্য দিন তিনি মসজিদের ধারে-টুরে তেমন একটা আসেন না । একজন অফিসার বাধ্য হলেন তাঁর নামাজ শেষ না করেই ওসি সাহেবের ইশারায় মুসল্লিদের থামাতে যেতে । শেষমেষ মাত্র ১৫-১৬ জন মানুষ থাকলো আর বেশীরভাগ (৫০-৬০ জন) মানুষই চলে গেল । যারা স্বেচ্ছায় থাকল তাঁদের অনেকেই যেটা আশা করেছিল সেটা হয়নি । নামাজের বেশ খানেক পরে আসলেন মন্ত্রীমশায় যেখানে উনাদের কেউ কেউ দেখতে চাইছিলেন মন্ত্রীমশায় একজন মনযোগী মুসলমান । তাও মসজিদে না এসে তিনি গেলেন থানার ভেতর ।
যাইহোক এই গুটিকয়েক মানুষ নিয়েই হুজুর দোয়া দূরুদ পড়া শুরু করলেন । ওসি সহেব নামাজ শেষ করে একরকম জবাবদিহীতার সুরে ইমাম সাহেবকে বললেন - "আর মানুষ কই ? " । বেচারা ইমাম সাহেব অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন । তিনি বিনয় আনার সুরেই বললেন - " ষাড় । আমি নামাজ পড়িয়া চাইয়া দেখি কেউ নাই । অহনকার মানুষ এত্ত বেয়াদব হই গেচে । খই যাইতাম ষাড় ।" ষাড় শব্দটায় তিনি অভ্যস্ত থাকায় চোখ দুটি একটু উজ্বল হলেও পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিলেন । এই লোকটা স্বয়ং কমিশনার স্যারকেও ষাড় ডেকেও রক্ষা পেয়েছে সেখানে তিনি আর এমন কি । চোখ দিয়ে কি যেন ইশারা করলেন উনার সহযোগী পুলিশ ইন্সপেক্টরকে, সাথে সাথেই উনি উঠে গেলেন আর সাথে করে আরেক কনস্টেবলকেও সাথে নিলেন ।
রাস্তায় অন্যান্য দিন মোটরগাড়ি ধরার হিড়িক থাকলেও আজ দুপুর ২ টার দিকের পরিস্থিতিটা ছিল বেশ ব্যতিক্রম । আজ যারা যারা রিকশা চালিয়ে আসছে থানার সামনে দিয়ে তাদেরকেও ধরা শুরু হল । ১০ মিনিটের মধ্যে ৩টি মোটর সাইকেল ১টি মিনিবাস, ৫টি রিকশাসহ ২ টি বাইসাইকেল পাকড়াও করে ফেললেন । নিজ ক্ষমতাগুনে এইগুলা আটকিয়ে থানার মধ্যে নিয়ে আসলেন । তাদের মধ্যে ৩ জন মহিলাও ছিলেন ।
এইসব আম পাবলিকের কেউ কেউ জীবনেও থানা দেখেনি অতএব তাঁদের মুখোভাবে চরম উদ্ভিগ্নতা লক্ষ্য করা গেল । একজন বুড়ো রিকশার যাত্রী তো বলেই ফেললেন `কি ঐচে বাফ । আমরা কি অফরাধ করচি যে আমাগরে লই যাইচো ? ` এক অকালপক্ষ রিকশাওয়ালা ভাবতে থাকলো হায় কপাল এখন তো দেখি রিকশা সাইকেলও ধরা শুরু করছে । আগে তো দেখতাম সিএনজি মোটরবাইকই ধরত । এক যুবক ছেলে ইন্সপেক্টরের রাশভারী চেহারার প্রতি না দেখার ভান করে বলল ' স্যার কি সমস্যা? ?' অবশ্য ইন্সপেক্টরের কথায় সবাই সম্ভিত ফিরে পেলেন । যারা চিন্তা করে নিজের মাথার চুলের গোড়ায় ঘামবিন্দু জোগাড় করে ফেলেছিলেন তারাও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন । মহিলাগণ ব্যতিত বাকি সবাইকে নিয়ে ইন্সপেকটর মসজিদের দিকে চললেন ।
খানিক পরেই মন্ত্রী সাহেব আসলেন । তাঁর লোকদের পিছু পিছু কয়েকটা জিলিপির প্যাকেট নিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আসতে দেখা গেল । মন্ত্রী এসে খানিকটা অবাকই হলেন বটে । এর দুইটি কারণ ছিল । প্রথম কারণ ছিল মসজিদের অতি অল্প জায়গা নিয়ে মাত্রই জনাত্রিশেক মুসল্লী । অনেকেরই মাথায় টুপি নাই। কাউকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে বাজারের উদ্দেশ্যে এসে ভুলক্রমেই হোক অথবা শিরনির কারণে হোক কিংবা অন্য কোনা কারণেই হোক সে মসজিদে এসে পড়েছে । মন্ত্রী ২্য় যে কারণে অবাক হলেন সেটা হলো তাঁর জন্য কেউই জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন না । কয়েক সেকেন্ড তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওসি নিজে থেকে ওঠে উনাকে বসার জন্য জায়গা করে দিলেন । মন্ত্রী অতি সৌজন্য দেখিয়ে ওসি সাহেবকে উনার আসনেই বসে থাকতে হাত নাড়লেন । হাবা গোবা এক লোককে ঠেলে ঠেলে নিজ জায়গা করে নিলেন ইমাম সাহেবের পাশের লোকের পরেই । তাঁর ব্যাপক আয়তনবিশিষ্ট ভুড়িখানা ঐ লোকটার পিঠের ওপর দিয়ে চাপিয়েই ইমাম সাহেবকে কানে কানে মন্ত্রণা দিলেন যাতে দোয়াটা একেবারে ছোট না হয় ।
এদিকে হাবাগোবা লোকটি একটা আধপাগল লোক হলেও সে যারপরনাই বিরক্ত হচ্ছিল (উনি যে মন্ত্রী এইটা সে জানেও না বুঝতেও চায় না) অতিকায় লোকটির উপর । ভদ্রতা রক্ষা করতে গিয়ে যদিও সে তাঁর মুখ দিয়ে কোন প্রতিবাদ করলো না তারপরও সে বিরক্ত হচ্ছে এইটা বোঝাবার জন্য তার দুই ঠোঁট দিয়ে কচি বাঁশে ঘষা দিলে যেই ধরনের শব্দ হয় ঠিক ঐরকম করে একটা কয়েক সেকেন্ডের শব্দ করল যাতে অন্তত এই দেরি করে এসেও স্থান দখলের অপচেষ্টাকারী এই বিশালদেহি লোকটা একটু সতর্ক হয় । এই শব্দ একটি আদ্ম্যাতিক পরিবেশকে যে বেশ খানিকটা বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে সেই দিকে এই লোকটা চিন্তাও করল না ।
এই আচরণে মন্ত্রী ধরেই নিলেন এই লোকটার নাট বল্টুতে গোলমাল আছে অতএব তিনি চাইলেন না আর লোকটাকে ঘাটাতে । মনে মনে আফসোস করলেন এইখানে না বসে অন্য কোথাও কেন বসলেন না ।
যাই হোক হুজুর দোয়া শুরু করলেন । দোয়া শুরুর সময়ে তাঁর সামনে অভুক্ত খেটে খাওয়া ৩০-৪০ জন বসে আছে সেই ব্যপারটা মাথায় না আসলেও মাথায় রাখলেন মন্ত্রীর কথাটা । লোকেরা আশা করল ৩-৪ মিনিটেই দোয়া শেষ হয়ে যাবে । কিন্তু ঘটল ঠিক উল্টোটা । ১০ মিনিট হয়ে গেল হুজুরের দোয়া শেষ হবার কোনই লক্ষণ দেখা গেল না । আদম সন্তানদের যে অনেকেই এখানে এসেছে বাধ্য হয়ে নিতান্তই অনিচ্ছায় সেটার দিকে নজর দিবেন কোত্থেকে । এদিকে মন্ত্রীর কাছে ১০ মিনিটকে মনে হলো যেন ১ ঘন্টা । তাই কি মনে করে হঠাৎ তিনি ভারী গলায় চেঁচিয়ে ওঠলেন - "এই হুজুর দোয়া শেষ কর ।" কাজ হলো সাথে সাথেই । হুজুর কয়েক সেকেন্ডেই একটা আরবি বাক্য পড়ে আল্লাহুম্মা আমিন বলে দোয়ার ইতি টানলেন ।
দোয়ার সাথে শরিক লোকেরা এইসময় বিস্ময়াবিভুত না হবার কোন কারণ থাকতে পারে না । এইরকম অভিজ্ঞতা আর কখনোই তাদের কাউকেই যে অর্জন করতে হয়নি । অনেকেই হা হু করে নিচু শব্দে হাসি শুরু করে দিলেন । আর এই ধরনের হাসি যে ভাইরাসময় ও ছোঁয়াচে সেটা আপনাদের জানা থাকার কথা । স্বাভাবিকভাবেই অভিস্রবন তথা অসমোসিস প্রক্রিয়ায় শব্দটার তীব্রতা বাড়তে থাকল । তবে মন্ত্রীর ধমক এতই তীব্র ছিল যে হাবাগোবা লোকটি কয়েক মুহুর্রতের মধ্যে ভয় পেয়ে হালকা পাতলা একটা বোমা বিস্ফোরণের ন্যায় শব্দ করে পেট কর্তৃক উৎপাদিত বায়ু ত্যাগ করতে বাধ্য হলো । যদিও তেমন একটা গন্ধ ছিলনা তারপরও যেই শব্দে এই লোকটা বোম ফাটিয়েছিল সেটা মসজিদকক্ষের হালকা মাত্রার হাস্যরসের সাথে যেন আরেক ধ্বনাত্বক মাত্রা যোগ করলো । যারা হাসতে চায়নি তাদের কেউ কেউ এবার আর না হেসে চুপ থাকলেন না ।
কয়েক যুবক ও কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ছেলেপিলে নিজেদের হাসির বান ছেড়ে দিয়ে এক ভয়াবহ অবস্থার উৎপত্তি ঘটাল যেটা হয়তো পাঠকের জীবনেও ঘটেনি । বুড়ো বয়সের এক লোক তো হো হো করে হেসে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল । তাতে অবশ্য একটা কাজ হয়েছে মোটামুটি সবার নজর উনার দিকে ঘুরে গিয়ে হাসির বন্যা অনেকটাই কমে গেল এবং এক পর্যায়ে দু একজন ব্যতিত সবাই-ই হাসি বন্ধ করে উনার দিকে তাকিয়ে থাকল । সবার তাকান দেখে অবশ্য উনিও ভয় পেয়ে নিজের হাস্যময় চেহারাকে ফ্যাকাশে মুখে রুপান্তরিত করে ফেললেন ।
মন্ত্রী মশায় যারপরনাই অপ্রস্তুত বোধ করতে থাকলেন । তাঁর মুখের উভয় গালের চর্বিময় ত্বকে হালকা মাত্রার কাঁপাকাপি দেখা গেল । এক কনস্টেবল মন্ত্রীর পাশের লোকটা কেন এত জোরে পাদ দিয়ে পরিবেশটা দুষিত ও নষ্ট করলো সেই কারণেই কি না অন্য কারণে ঠিক জানিনা ঐ আধাপাগলটাকে টেনে বের করার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর কাঁধে ধরে মারলো হোৎকা টান । লোকটাও যে কম যায় না এটা উপস্থিত জনগণকে জানিয়ে দেবার তাগিদে বেশ রাগ দেখিয়ে এক ঝটকায় নিজেকে স্ব অবস্থানে ফিরিয়ে আনলো । কনস্টেবলের দিকে কি একটা ইশারা করলেন ইন্সপেকটর । সাথে সাথে সে লোকটার পায়ে ধরে টান দিয়ে আনতে গিয়ে যেই চরম বিপত্তি ঘটিয়ে ফেলল ওইটা ঘটবারই বোধকরি বাকি ছিল ।
বলা যায় রীতিমত ৩০২ ধারার অপরাধ । সে হ্যাচকা টান দিল বটে কিন্তু টানটা দিল মন্ত্রীর বাম পায়ে ধরে । আর উনি নিজের বিশালকায় ভুঁড়ি খানা নিয়ে মুখ রাখার দিকে ধপাস করে মসজিদের ফ্লোরে পড়ে গেলেন । যেই শব্ধটা মসজিদের চার দেয়ালে একাধিকবার প্রতিধ্বন্নিত হল । আরেকটু হলেই নাক ফেটে যেত যদি না সযত্নে মন্ত্রী নিজের নাক ও মুখ বাঁচাতে হাত দুটিকে ব্যাবহার না করতেন । চুড়ান্ত অবস্থায় উপমিত হওয়া থেকে কোনক্রমে নিজেকে যেন বাঁচালেন এই আর কি । সিরিয়াস যারা এই সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁরা ভেবে পেলেন না ঐ কনস্টেবল কেনই বা মন্ত্রীর পায়ে ধরে উনাকে বসা থেকে ধড়াম করে নিচে ফেলতে গেল আর এখন উনাকে না তুলে কেনইবা হা করে দাঁড়িয়ে থাকবে ।
এই ঘটনায় উপস্থিত সবারই চক্ষু ছানাবড়া না হয়ে কি আর উপায় থাকে । ঘটনার প্রতিক্রিয়াস্বরুপ একটা পিচ্চি ছেলে থি থি করে এই পর্বের হাস্যরসের সূচনা করলো । বাকি অধিক রসপূর্ণ মানব সন্তানগণও যার যার নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে বাকি রাখলেননা । এক অতি ক্ষীনকায় লোক হাসতে গিয়ে তো মসজিদের ফ্লোরে পড়েই গেল আর লুটোপুটি খেতে লাগলো । শুধু সে-ই না আরো কয়েকজন রস গ্রহণকারী লোক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন । অবস্থা বেগতিক দেখে ওসি সাহেব মন্ত্রীকে তুলতে গেলেন আর ইন্সপেকটর সাহেব আগের বুড়ো লোকটাকে একটা ধমক দিয়ে বাকি সবাইকে থামতে নির্দেশ দিলেন । অবশ্য ধমকে বেশ কাজ হল । কারন ধমকটা আর তো যে কারো না । একজন পুলিশ অফিসারের ।
এদিকে পুণ্যের কাজ করতে এসে মন্ত্রী ভাবতেই পারেন-নি এতটা ধরাশায়ী হতে হবে । তিনি আর বিলম্ব না করে গাড়ির ড্রাইভার আর এসএসএফকে নিজ হাউজে ফেরত যাবার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেন ।
চিকনার হতবুদ্ধি টাইপ দাঁড়ানো দেখে মন্ত্রীমশাই একগাল হেসে নিয়ে বললেন-
: কি মামুইন্যা । দিশা হারাই লাইচিস?
: না । মামু । আন্নে ইডা কি ঐলেন । যেই ব্যাডা আন্নের হত্রু হেরে আন্নে সালাম দিতাচেন ? ইয়ে..
: আরে বেটা তুই ইডার কি বুঝবি ? সব সাংঘাতিকই (সাংবাদিকরা) তো আমাগ শত্রু না । কিচু আচে খালি গায়ে হরে লাগে । মনে কর যে হ্যারা মগ শত্রু না বুরুং বন্ধু । হ্যারা হইল দুষ্ট বন্ধু । ইডা তোর বুঝা লাগিপ না । হালারপো ভাগ্নে - তুই এই খবরটা দি ভাল কইচ্চস । তোরে লইয়াই এলাকায় যামু আগামি রোববার ।
: ঠিক আচে । মামু । আন্নের কতাই রাইত ।
অফিসের এক কোণে বসা কর্মরত তরুন বয়সি এক মহিলা ভেবে পান না শালার ছেলে কি করে স্যারের ভাগ্নে হয় । যাই হোক তিনি এ ব্যপারে কখনই নাক গলাননি এবং এবারও তা করলেন না ।
--------------------
মন্ত্রী ঠিকই রোববার এলাকায় গিয়ে আসন্ন বিপদ টের পেলেন । জেলা সদর থেকে একটা ভাল প্রটোকল নিয়েই তিনি এলাকায় প্রবেশ করলেন । মোপাইলে পাতিনেতাদের যে আশংকায় ফোন করলেন ঠিক ঠিক তারই আভাষ পেলেন । এলাকার নেতাকর্মীরা মন্ত্রীমশায়ের অনুপস্থিতিতে যে যার গায়ে ইচ্ছেমত কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি, এঁটো-মেটো কোন্দল করে কোনভাবেই তাঁরা ভাল অবস্থায় নেই এই ব্যপারটা তিনি বেশ বুঝে গেলেন । আর অখেয়ালে কে কোন দশাপ্রাপ্ত হয়েছে সেটার প্রতি নিজেরা এতটুকু ভ্রুক্ষেপ করেনি । তো মন্ত্রীমশায় নিতান্তই বিরক্ত হয়ে থানার পার্শ্ববর্তী মসজিদে জোহর নামাজবাদ দোয়ার আয়োজন করতে নির্দেশ দিলেন যাতে এলাকার ধর্মমুখী মানবকূলের হৃদয়-কুঠুরীতে কোনমতে দু একটা ধাক্কা মারতে পারেন । যেহেতু এলাকার ম্যাঙো পাবলিকের অনেক ভোটই তাঁকে আজ মন্ত্রীত্ব দিয়েছে, এবং একজন মন্ত্রীর মর্যাদা দেবতাতুল্য অতএব তিনি তাঁদের স্পর্শ দিলে ঐসব আবালগুলো নিজেদের ধন্য মনে করবে এটাই হওয়া স্বাভাবিক ।
যোহরের আজানের পর এক পুলিশ অফিসার মসজিদের অভ্যন্তরীণ মাইকে ঘোষনা করলেন মন্ত্রী একটি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছেন যাতে নামাজ শেষেই সবাই না গিয়ে বসে থাকেন ।
বাস্তবতা যে ভিন্ন জিনিস সেটা আরেকবার প্রমাণ হলো । এলাকার বেশিরভাগ মুসল্লীই যার যার নামাজ শেষ করে চলে যেতে চাইলেন । এদিকে থানার ওসি সাহেবও আসছেন নামাজে । যদিও অন্যান্য দিন তিনি মসজিদের ধারে-টুরে তেমন একটা আসেন না । একজন অফিসার বাধ্য হলেন তাঁর নামাজ শেষ না করেই ওসি সাহেবের ইশারায় মুসল্লিদের থামাতে যেতে । শেষমেষ মাত্র ১৫-১৬ জন মানুষ থাকলো আর বেশীরভাগ (৫০-৬০ জন) মানুষই চলে গেল । যারা স্বেচ্ছায় থাকল তাঁদের অনেকেই যেটা আশা করেছিল সেটা হয়নি । নামাজের বেশ খানেক পরে আসলেন মন্ত্রীমশায় যেখানে উনাদের কেউ কেউ দেখতে চাইছিলেন মন্ত্রীমশায় একজন মনযোগী মুসলমান । তাও মসজিদে না এসে তিনি গেলেন থানার ভেতর ।
যাইহোক এই গুটিকয়েক মানুষ নিয়েই হুজুর দোয়া দূরুদ পড়া শুরু করলেন । ওসি সহেব নামাজ শেষ করে একরকম জবাবদিহীতার সুরে ইমাম সাহেবকে বললেন - "আর মানুষ কই ? " । বেচারা ইমাম সাহেব অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন । তিনি বিনয় আনার সুরেই বললেন - " ষাড় । আমি নামাজ পড়িয়া চাইয়া দেখি কেউ নাই । অহনকার মানুষ এত্ত বেয়াদব হই গেচে । খই যাইতাম ষাড় ।" ষাড় শব্দটায় তিনি অভ্যস্ত থাকায় চোখ দুটি একটু উজ্বল হলেও পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিলেন । এই লোকটা স্বয়ং কমিশনার স্যারকেও ষাড় ডেকেও রক্ষা পেয়েছে সেখানে তিনি আর এমন কি । চোখ দিয়ে কি যেন ইশারা করলেন উনার সহযোগী পুলিশ ইন্সপেক্টরকে, সাথে সাথেই উনি উঠে গেলেন আর সাথে করে আরেক কনস্টেবলকেও সাথে নিলেন ।
রাস্তায় অন্যান্য দিন মোটরগাড়ি ধরার হিড়িক থাকলেও আজ দুপুর ২ টার দিকের পরিস্থিতিটা ছিল বেশ ব্যতিক্রম । আজ যারা যারা রিকশা চালিয়ে আসছে থানার সামনে দিয়ে তাদেরকেও ধরা শুরু হল । ১০ মিনিটের মধ্যে ৩টি মোটর সাইকেল ১টি মিনিবাস, ৫টি রিকশাসহ ২ টি বাইসাইকেল পাকড়াও করে ফেললেন । নিজ ক্ষমতাগুনে এইগুলা আটকিয়ে থানার মধ্যে নিয়ে আসলেন । তাদের মধ্যে ৩ জন মহিলাও ছিলেন ।
এইসব আম পাবলিকের কেউ কেউ জীবনেও থানা দেখেনি অতএব তাঁদের মুখোভাবে চরম উদ্ভিগ্নতা লক্ষ্য করা গেল । একজন বুড়ো রিকশার যাত্রী তো বলেই ফেললেন `কি ঐচে বাফ । আমরা কি অফরাধ করচি যে আমাগরে লই যাইচো ? ` এক অকালপক্ষ রিকশাওয়ালা ভাবতে থাকলো হায় কপাল এখন তো দেখি রিকশা সাইকেলও ধরা শুরু করছে । আগে তো দেখতাম সিএনজি মোটরবাইকই ধরত । এক যুবক ছেলে ইন্সপেক্টরের রাশভারী চেহারার প্রতি না দেখার ভান করে বলল ' স্যার কি সমস্যা? ?' অবশ্য ইন্সপেক্টরের কথায় সবাই সম্ভিত ফিরে পেলেন । যারা চিন্তা করে নিজের মাথার চুলের গোড়ায় ঘামবিন্দু জোগাড় করে ফেলেছিলেন তারাও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন । মহিলাগণ ব্যতিত বাকি সবাইকে নিয়ে ইন্সপেকটর মসজিদের দিকে চললেন ।
খানিক পরেই মন্ত্রী সাহেব আসলেন । তাঁর লোকদের পিছু পিছু কয়েকটা জিলিপির প্যাকেট নিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আসতে দেখা গেল । মন্ত্রী এসে খানিকটা অবাকই হলেন বটে । এর দুইটি কারণ ছিল । প্রথম কারণ ছিল মসজিদের অতি অল্প জায়গা নিয়ে মাত্রই জনাত্রিশেক মুসল্লী । অনেকেরই মাথায় টুপি নাই। কাউকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে বাজারের উদ্দেশ্যে এসে ভুলক্রমেই হোক অথবা শিরনির কারণে হোক কিংবা অন্য কোনা কারণেই হোক সে মসজিদে এসে পড়েছে । মন্ত্রী ২্য় যে কারণে অবাক হলেন সেটা হলো তাঁর জন্য কেউই জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন না । কয়েক সেকেন্ড তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওসি নিজে থেকে ওঠে উনাকে বসার জন্য জায়গা করে দিলেন । মন্ত্রী অতি সৌজন্য দেখিয়ে ওসি সাহেবকে উনার আসনেই বসে থাকতে হাত নাড়লেন । হাবা গোবা এক লোককে ঠেলে ঠেলে নিজ জায়গা করে নিলেন ইমাম সাহেবের পাশের লোকের পরেই । তাঁর ব্যাপক আয়তনবিশিষ্ট ভুড়িখানা ঐ লোকটার পিঠের ওপর দিয়ে চাপিয়েই ইমাম সাহেবকে কানে কানে মন্ত্রণা দিলেন যাতে দোয়াটা একেবারে ছোট না হয় ।
এদিকে হাবাগোবা লোকটি একটা আধপাগল লোক হলেও সে যারপরনাই বিরক্ত হচ্ছিল (উনি যে মন্ত্রী এইটা সে জানেও না বুঝতেও চায় না) অতিকায় লোকটির উপর । ভদ্রতা রক্ষা করতে গিয়ে যদিও সে তাঁর মুখ দিয়ে কোন প্রতিবাদ করলো না তারপরও সে বিরক্ত হচ্ছে এইটা বোঝাবার জন্য তার দুই ঠোঁট দিয়ে কচি বাঁশে ঘষা দিলে যেই ধরনের শব্দ হয় ঠিক ঐরকম করে একটা কয়েক সেকেন্ডের শব্দ করল যাতে অন্তত এই দেরি করে এসেও স্থান দখলের অপচেষ্টাকারী এই বিশালদেহি লোকটা একটু সতর্ক হয় । এই শব্দ একটি আদ্ম্যাতিক পরিবেশকে যে বেশ খানিকটা বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে সেই দিকে এই লোকটা চিন্তাও করল না ।
এই আচরণে মন্ত্রী ধরেই নিলেন এই লোকটার নাট বল্টুতে গোলমাল আছে অতএব তিনি চাইলেন না আর লোকটাকে ঘাটাতে । মনে মনে আফসোস করলেন এইখানে না বসে অন্য কোথাও কেন বসলেন না ।
যাই হোক হুজুর দোয়া শুরু করলেন । দোয়া শুরুর সময়ে তাঁর সামনে অভুক্ত খেটে খাওয়া ৩০-৪০ জন বসে আছে সেই ব্যপারটা মাথায় না আসলেও মাথায় রাখলেন মন্ত্রীর কথাটা । লোকেরা আশা করল ৩-৪ মিনিটেই দোয়া শেষ হয়ে যাবে । কিন্তু ঘটল ঠিক উল্টোটা । ১০ মিনিট হয়ে গেল হুজুরের দোয়া শেষ হবার কোনই লক্ষণ দেখা গেল না । আদম সন্তানদের যে অনেকেই এখানে এসেছে বাধ্য হয়ে নিতান্তই অনিচ্ছায় সেটার দিকে নজর দিবেন কোত্থেকে । এদিকে মন্ত্রীর কাছে ১০ মিনিটকে মনে হলো যেন ১ ঘন্টা । তাই কি মনে করে হঠাৎ তিনি ভারী গলায় চেঁচিয়ে ওঠলেন - "এই হুজুর দোয়া শেষ কর ।" কাজ হলো সাথে সাথেই । হুজুর কয়েক সেকেন্ডেই একটা আরবি বাক্য পড়ে আল্লাহুম্মা আমিন বলে দোয়ার ইতি টানলেন ।
দোয়ার সাথে শরিক লোকেরা এইসময় বিস্ময়াবিভুত না হবার কোন কারণ থাকতে পারে না । এইরকম অভিজ্ঞতা আর কখনোই তাদের কাউকেই যে অর্জন করতে হয়নি । অনেকেই হা হু করে নিচু শব্দে হাসি শুরু করে দিলেন । আর এই ধরনের হাসি যে ভাইরাসময় ও ছোঁয়াচে সেটা আপনাদের জানা থাকার কথা । স্বাভাবিকভাবেই অভিস্রবন তথা অসমোসিস প্রক্রিয়ায় শব্দটার তীব্রতা বাড়তে থাকল । তবে মন্ত্রীর ধমক এতই তীব্র ছিল যে হাবাগোবা লোকটি কয়েক মুহুর্রতের মধ্যে ভয় পেয়ে হালকা পাতলা একটা বোমা বিস্ফোরণের ন্যায় শব্দ করে পেট কর্তৃক উৎপাদিত বায়ু ত্যাগ করতে বাধ্য হলো । যদিও তেমন একটা গন্ধ ছিলনা তারপরও যেই শব্দে এই লোকটা বোম ফাটিয়েছিল সেটা মসজিদকক্ষের হালকা মাত্রার হাস্যরসের সাথে যেন আরেক ধ্বনাত্বক মাত্রা যোগ করলো । যারা হাসতে চায়নি তাদের কেউ কেউ এবার আর না হেসে চুপ থাকলেন না ।
কয়েক যুবক ও কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ছেলেপিলে নিজেদের হাসির বান ছেড়ে দিয়ে এক ভয়াবহ অবস্থার উৎপত্তি ঘটাল যেটা হয়তো পাঠকের জীবনেও ঘটেনি । বুড়ো বয়সের এক লোক তো হো হো করে হেসে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল । তাতে অবশ্য একটা কাজ হয়েছে মোটামুটি সবার নজর উনার দিকে ঘুরে গিয়ে হাসির বন্যা অনেকটাই কমে গেল এবং এক পর্যায়ে দু একজন ব্যতিত সবাই-ই হাসি বন্ধ করে উনার দিকে তাকিয়ে থাকল । সবার তাকান দেখে অবশ্য উনিও ভয় পেয়ে নিজের হাস্যময় চেহারাকে ফ্যাকাশে মুখে রুপান্তরিত করে ফেললেন ।
মন্ত্রী মশায় যারপরনাই অপ্রস্তুত বোধ করতে থাকলেন । তাঁর মুখের উভয় গালের চর্বিময় ত্বকে হালকা মাত্রার কাঁপাকাপি দেখা গেল । এক কনস্টেবল মন্ত্রীর পাশের লোকটা কেন এত জোরে পাদ দিয়ে পরিবেশটা দুষিত ও নষ্ট করলো সেই কারণেই কি না অন্য কারণে ঠিক জানিনা ঐ আধাপাগলটাকে টেনে বের করার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর কাঁধে ধরে মারলো হোৎকা টান । লোকটাও যে কম যায় না এটা উপস্থিত জনগণকে জানিয়ে দেবার তাগিদে বেশ রাগ দেখিয়ে এক ঝটকায় নিজেকে স্ব অবস্থানে ফিরিয়ে আনলো । কনস্টেবলের দিকে কি একটা ইশারা করলেন ইন্সপেকটর । সাথে সাথে সে লোকটার পায়ে ধরে টান দিয়ে আনতে গিয়ে যেই চরম বিপত্তি ঘটিয়ে ফেলল ওইটা ঘটবারই বোধকরি বাকি ছিল ।
বলা যায় রীতিমত ৩০২ ধারার অপরাধ । সে হ্যাচকা টান দিল বটে কিন্তু টানটা দিল মন্ত্রীর বাম পায়ে ধরে । আর উনি নিজের বিশালকায় ভুঁড়ি খানা নিয়ে মুখ রাখার দিকে ধপাস করে মসজিদের ফ্লোরে পড়ে গেলেন । যেই শব্ধটা মসজিদের চার দেয়ালে একাধিকবার প্রতিধ্বন্নিত হল । আরেকটু হলেই নাক ফেটে যেত যদি না সযত্নে মন্ত্রী নিজের নাক ও মুখ বাঁচাতে হাত দুটিকে ব্যাবহার না করতেন । চুড়ান্ত অবস্থায় উপমিত হওয়া থেকে কোনক্রমে নিজেকে যেন বাঁচালেন এই আর কি । সিরিয়াস যারা এই সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁরা ভেবে পেলেন না ঐ কনস্টেবল কেনই বা মন্ত্রীর পায়ে ধরে উনাকে বসা থেকে ধড়াম করে নিচে ফেলতে গেল আর এখন উনাকে না তুলে কেনইবা হা করে দাঁড়িয়ে থাকবে ।
এই ঘটনায় উপস্থিত সবারই চক্ষু ছানাবড়া না হয়ে কি আর উপায় থাকে । ঘটনার প্রতিক্রিয়াস্বরুপ একটা পিচ্চি ছেলে থি থি করে এই পর্বের হাস্যরসের সূচনা করলো । বাকি অধিক রসপূর্ণ মানব সন্তানগণও যার যার নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে বাকি রাখলেননা । এক অতি ক্ষীনকায় লোক হাসতে গিয়ে তো মসজিদের ফ্লোরে পড়েই গেল আর লুটোপুটি খেতে লাগলো । শুধু সে-ই না আরো কয়েকজন রস গ্রহণকারী লোক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন । অবস্থা বেগতিক দেখে ওসি সাহেব মন্ত্রীকে তুলতে গেলেন আর ইন্সপেকটর সাহেব আগের বুড়ো লোকটাকে একটা ধমক দিয়ে বাকি সবাইকে থামতে নির্দেশ দিলেন । অবশ্য ধমকে বেশ কাজ হল । কারন ধমকটা আর তো যে কারো না । একজন পুলিশ অফিসারের ।
এদিকে পুণ্যের কাজ করতে এসে মন্ত্রী ভাবতেই পারেন-নি এতটা ধরাশায়ী হতে হবে । তিনি আর বিলম্ব না করে গাড়ির ড্রাইভার আর এসএসএফকে নিজ হাউজে ফেরত যাবার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেন ।
0 টি তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন