ইসলামিস্টদের জাগরণ দেখা গিয়েছিল আরব রাজতন্ত্র ও বেশ কয়েকটি স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে । লিবিয়ার গাদ্দাফির পতন, তিউনিসিয়ার পতন, ইয়েমেন, বাহরাইন, বিশেষত মিশরে তাদের জাগরণ ছিল চোখে পড়ার মত । এমনকি সৌদি আরবেও তাদের মিছিল, র্যালি ও বিবিধ কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল সারা বিশ্বে ।
ছবিঃ বিবিসি
এই লেখাটি যখন লিখছি তখন কায়রোয় আল জাজিরার ৩ জন সাংবাদিককে ৩ বছরের সাজার ঘোষনা নিয়ে ব্যস্ত বিবিসি আল জাজিরাসহ বিশ্বের বেশিরভাগ সংবাদসংস্থা, টেলিভিশন ও মিডিয়া । আল জাজিরার ইংরেজি বিভাগীয় পরিচালক টেডি উইলসনকে দেখলাম তিনি রীতিমত শক খাওয়ার মত অনুভুতি প্রকাশ করেছেন ।
এই তিন সাংবাদিকের শাস্তির কারণ দেখানো হয়েছে তাঁরা মুসলিম ব্রাদারহুডকে সহযোগীতা করেছেন । বিচার বিভাগের অমন ঘোষনা মেনে নিতে পারছেন না কেউই । স্বয়ং বারাক ওবামা যেখানে তাঁদের মুক্তির জন্য আহবান জানিয়েছিলেন সেখানেও কান দেয়নি মিশরীয় আদালত ।
মুল প্রসঙে ফিরে আসা যাক । মুসলিম ব্রাদারহুড হচ্ছে আরবসহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল । ২০১০-১১ সময়কালে তাঁদের উত্থান আর আজকের অবস্থানের মধ্যে দিনরাত ব্যবধান । বাশার আল আসাদকে হটাতে ইসলামিস্টদের নেয়া সিদ্ধান্ত আজো একটি যুদ্ধ হিসেবে রক্তপাত ঘটাচ্ছে । মিশরে ব্রাদারহুডের অবস্থা হচ্ছে পরাজিত বাহীনীর ন্যায় যাদের দাঁড়াবার মতো শক্তিই নেই । ফাসিঁর আদেশ দেয়া হয়েছে শ-খানেক ১ম সারির নেতার । দলের রাজনীতি নিষিদ্ধই বলা চলে । জাগরণের সুত্রপাত তিউনিসিয়ায় আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে সেক্যুলার দল । লিবিয়ায় ২০১২ সালেই শেষ হয়ে যায় ইসলামিস্টদের দৌড় । তাদের অনেকেই যোগ দেয় আইএসে ।
বর্তমান অবস্থায় বলা খুবই মুশকিল যে তাদের সংঘঠন কি এখনো আছে নাকি নেই । মুসলিম ব্রাদারহুডকে অনুসরণ করে গড়ে ওঠা জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকায় তাদের কার্যক্রম এখনো চালিয়ে যাচ্ছে । তাদের অবস্থাও তথৈবচৈ । পাকিস্তানে তাদের দৌড় লাহোরে সীমাবদ্ধ । অন্যান্য শহরে নেতার জোরে চলছে মোটামুটি । জনসমর্থন নেই বললেই চলে । শ্রীলংকা, ভারতে তাদের সংঘঠন নামসর্বস্ব । কেবল বাংলাদেশেই তাদের অবস্থান ছিল বলার মতো । কিন্তু বর্তমানে তাদের অবস্থাও অনেকটাই কোনটাসা । দুজন ১ম সারির নেতার ফাঁসি দেয়া হয়েছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে । দলের কর্ণধার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সব নেতাই একই অপরাধে ফাঁসির প্রহর গুনছেন ।
বর্তমান গতিতে চলতে গেলে এটা বলাই যায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হতে চলেছে সারা দুনিয়ায় বিশেষত মুসলিম দেশগুলিতে । ইসলামিস্টদের হঠিয়ে দখল করার কথা নাস্তিক্যবাদী মানবগোষ্টীর । পৃথিবীতে ধর্মীয় শাসন ও ব্যবস্থার অবসান হতে কেবল সময়ের বাধাটাই বাকি । দুনিয়া পরবর্তিতে শাসিত হবে ধর্মীয় অনুশাসন মুক্ত নাস্তিকদের দ্বারা ।
এই লেখাটি যখন লিখছি তখন কায়রোয় আল জাজিরার ৩ জন সাংবাদিককে ৩ বছরের সাজার ঘোষনা নিয়ে ব্যস্ত বিবিসি আল জাজিরাসহ বিশ্বের বেশিরভাগ সংবাদসংস্থা, টেলিভিশন ও মিডিয়া । আল জাজিরার ইংরেজি বিভাগীয় পরিচালক টেডি উইলসনকে দেখলাম তিনি রীতিমত শক খাওয়ার মত অনুভুতি প্রকাশ করেছেন ।
এই তিন সাংবাদিকের শাস্তির কারণ দেখানো হয়েছে তাঁরা মুসলিম ব্রাদারহুডকে সহযোগীতা করেছেন । বিচার বিভাগের অমন ঘোষনা মেনে নিতে পারছেন না কেউই । স্বয়ং বারাক ওবামা যেখানে তাঁদের মুক্তির জন্য আহবান জানিয়েছিলেন সেখানেও কান দেয়নি মিশরীয় আদালত ।
মুল প্রসঙে ফিরে আসা যাক । মুসলিম ব্রাদারহুড হচ্ছে আরবসহ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল । ২০১০-১১ সময়কালে তাঁদের উত্থান আর আজকের অবস্থানের মধ্যে দিনরাত ব্যবধান । বাশার আল আসাদকে হটাতে ইসলামিস্টদের নেয়া সিদ্ধান্ত আজো একটি যুদ্ধ হিসেবে রক্তপাত ঘটাচ্ছে । মিশরে ব্রাদারহুডের অবস্থা হচ্ছে পরাজিত বাহীনীর ন্যায় যাদের দাঁড়াবার মতো শক্তিই নেই । ফাসিঁর আদেশ দেয়া হয়েছে শ-খানেক ১ম সারির নেতার । দলের রাজনীতি নিষিদ্ধই বলা চলে । জাগরণের সুত্রপাত তিউনিসিয়ায় আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে সেক্যুলার দল । লিবিয়ায় ২০১২ সালেই শেষ হয়ে যায় ইসলামিস্টদের দৌড় । তাদের অনেকেই যোগ দেয় আইএসে ।
বর্তমান অবস্থায় বলা খুবই মুশকিল যে তাদের সংঘঠন কি এখনো আছে নাকি নেই । মুসলিম ব্রাদারহুডকে অনুসরণ করে গড়ে ওঠা জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকায় তাদের কার্যক্রম এখনো চালিয়ে যাচ্ছে । তাদের অবস্থাও তথৈবচৈ । পাকিস্তানে তাদের দৌড় লাহোরে সীমাবদ্ধ । অন্যান্য শহরে নেতার জোরে চলছে মোটামুটি । জনসমর্থন নেই বললেই চলে । শ্রীলংকা, ভারতে তাদের সংঘঠন নামসর্বস্ব । কেবল বাংলাদেশেই তাদের অবস্থান ছিল বলার মতো । কিন্তু বর্তমানে তাদের অবস্থাও অনেকটাই কোনটাসা । দুজন ১ম সারির নেতার ফাঁসি দেয়া হয়েছে যুদ্ধাপরাধের দায়ে । দলের কর্ণধার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সব নেতাই একই অপরাধে ফাঁসির প্রহর গুনছেন ।
বর্তমান গতিতে চলতে গেলে এটা বলাই যায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হতে চলেছে সারা দুনিয়ায় বিশেষত মুসলিম দেশগুলিতে । ইসলামিস্টদের হঠিয়ে দখল করার কথা নাস্তিক্যবাদী মানবগোষ্টীর । পৃথিবীতে ধর্মীয় শাসন ও ব্যবস্থার অবসান হতে কেবল সময়ের বাধাটাই বাকি । দুনিয়া পরবর্তিতে শাসিত হবে ধর্মীয় অনুশাসন মুক্ত নাস্তিকদের দ্বারা ।
0 টি তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন