পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে নির্বাচনের পরের দিন থেকে মন্ত্রীমশাইয়ের আর কোন খোঁজ নেই । অফিসে ঢুকবার পরে উনার একান্ত প্রিয় ভাগ্নে (যার একটু আধটু ফিটিস ফাটুস ইংরেজি জানা থাকলে নিজের পি.এস. হিসেবে জয়েন দেয়ার চিন্তাও ছিল সেই ভাগ্নে) মামার যাতে আশু বিপদ না হয় সে উদ্দেশ্যে খবরটা দেবার নিমিত্তে মন্ত্রী মশাইয়ের কানের কাছে দাঁড়িয়ে পরম শ্রদ্ধার সহিত বলল
- `মামু !! আন্নের অনুমতি থাইকলে এট্টু দরকারি সাপজেক্টে জানাইতাম ।`
মন্ত্রী মশাই বিশাল ভুঁড়ি নিয়া তাঁর বলিষ্ট পদযুগল সবে সংস্থাপন করেছেন । যার মানে দাঁড়ায় এখনই তিনি খোশ মুডে আছেন । দেশ তো ভালই চলছে । অতএব আর চিন্তা কিসের । তিনি প্রিয় ভাগ্নের দিকে হাস্য প্রস্ফুটিত একটু একটু ভাঁজ করা গাল দিয়ে অবজ্ঞার ভাব ফুটিয়ে ভাগ্নেকে বললেন
- ভাগ্নে । কোন ভনিতা না করিয়া কই ফালাও । আমি মুডে আচি । নো চিন্তা
- না মামু । পত্রিকেয় একখান নিউজ বের হইচে । আন্নেরে নি ।
মন্ত্রীমশাই তাঁর ৩০-৪০ কেজি ওজনের ভুঁড়ে সামলে একপ্রকার লাফ দিয়ে ওঠলেন । তাঁর দুই চক্ষের সহাস্য বিনোদন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল ।
- কস কি মমিন । কি লিখছে আমারে নিয়ে । কোন কেলেংকারী নয় তো ? আমি তো এখন ফর্যন্ত(!) ভাগ্নে একখান ক্লীন ফেস । আঁরে নি কোন গরুর বাচ্চা লিখে । নাম ক । তারে দেখিমু আমি ।
- না মামু । অত বড়সড় কিচ্ছু না ।
- আরে বেটা ক । ঘটনা কি আমারে খুলিয়া ক ।
- ইয়ে মানে .. এলাকারই এক সাংবাদিক লিখছে ..
- কি লিখছে । নাম কি শয়তানের বাচ্চার ।
- না লিখছে ঐ যে নির্বাচনের হর থিক্কা তো লাকায় যান না । হের লিগা মানুষ বলাবলি করতিচে । আন্নে মন্ত্রি হই যাওনের হর থিক্কা লাহা ভুলি গেছুন । .. এই সেই..
- হারামজাদার নাম কি?
- ঐ কুলাংগার ইদ্রিচ্চা এলাহার খবরের সম্পাদক ।
- হেরে আমার সালাম জানাবি ।
চিকন চাকন ভাগ্নের মাথাখানি চক্কর দিয়া ওঠল । মামু কয় কি এডি । যেই কুলাঙার উনার বিরুদ্ধের লিখছে ওঁরে মামুর সালাম দিতে কয় । তাঁর মষ্তিষ্ক ফেল মারল ঘটনা ধরতে ।
0 টি তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন